Home

তত্ত্বতালাশ - ৭ ( সপ্তম সংখ্যা, জুন ২০২৩)

পরিমাণ
Call us +880 1521-203767 (Whatsapp, Imo, Viber)
পণ্যের বিবরণ

বাংলাদেশ অধ্যয়ন, বেশ অনেকদিন হল, এক জরাজীর্ণ দশায় পড়েছে। নির্দিষ্ট ও একরৈখিক সত্যের চাপে তার বহুতর রোশনাই আর নতুনতর সম্ভাবনার দিকগুলো কিছুতেই চর্চার সজীব ময়দানে উন্মোচিত হতে পারছে না। নতুন সম্ভাবনাগুলো অবশ্য স্থির-নির্দিষ্ট নয়—কোনো ক্ষেত্রেই তা থাকে না। এ কারণেই চর্চার সজীব প্রবাহটা অধিকতর জরুরি; তার মধ্য দিয়েই ক্রমশ অপ্রকাশিত সম্ভাবনাগুলোর ইশারা পাওয়া যায়। বাংলাদেশের ইতিহাসের, তা সে আর্থিক, সামাজিক, রাজনৈতিক যাই হোক না কেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো হয়েছে বিশ শতকের ষাট-সত্তর-আশির দশকে। অর্থাৎ, কাজগুলো প্রায় একই প্রজন্মের। মার্কসবাদী দৃষ্টিভঙ্গি কিছু কাজে ব্যবহৃত হলেও অধিকাংশ কাজ মোটের উপর জাতীয়তাবাদী ঘরানার। ওই প্রজন্মের জন্য সেটাই স্বাভাবিক। আসলে বলা উচিত, জাতীয়তাবাদী জোশ ও টানেই অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছিল, তা কাজগুলো দেশেই হোক বা দেশের বাইরে। কিন্তু কোনো জোশই চিরস্থায়ী নয়। চর্চার ধারাটা পরের প্রজন্মে সঞ্চারিত হতে পারত কেবল প্রাতিষ্ঠানিক চর্চার অংশ হয়ে উঠলে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা না হওয়ায় পরের দশকগুলোতে পাতে নেয়ার মতো কাজের সংখ্যা শোচনীয় মাত্রায় কমে গেছে। তত্ত্বতালাশের বর্তমান ৭ম সংখ্যার—নানা সঙ্গত ও অসঙ্গত কারণে যে সংখ্যাটি বেরুতে বেশ কিছু বিলম্ব ঘটল—কয়েকটি লেখা প্রমাণ করছে, বাংলাদেশ-চর্চার নতুন এক পর্ব শুরু করার সময় সমাগত। বস্তুনিষ্ঠ বিবরণী অনেক কম রচিত হলেও ব্যক্তিনিষ্ঠ বিপুল রচনা এর মধ্যেই রচিত হয়েছে। প্রভাবশালী বড় কাজের সংখ্যা কম হলেও নানা এলাকায় ছোট ছোট প্রচুর কাজ হয়েছে, যেগুলো অন্য এলাকার জন্য জরুরি বিস্তর মাল-মশলা নিয়ে অপেক্ষমাণ। পত্র-পত্রিকা আর সমধর্মী নানা উপাদানের আর্কাইভ গড়ে উঠেছে বা উঠছে অনলাইন উপকরণ হিসাবে, আর সেগুলো ঘরে বসেই লেখার টেবিলে পাওয়া যাচ্ছে। ফলে তথ্য-উপাত্ত আর নানাবিধ বিবরণী হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো কিংবা স্বাধীন গবেষকগণ সেগুলো কতটা কাজে লাগাতে পারবেন, তা-ই এখন দেখার বিষয়। ভালো-খারাপ আর ইতি-নেতির মধ্যে আটকে যাওয়া আমাদের দেশ-অধ্যয়ন বড় ধরনের নতুন ঢেউয়ের অপেক্ষা করছে—কেবল জ্ঞানের জন্য নয়, নতুন রাজনীতিরও সেটা প্রাথমিক শর্ত।

একই ধরনের পণ্য

আরো কিছু পণ্য