নিহান নামে এক সরল ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ছেলেকে নিয়ে গল্প। সে নিজেও মানে নিজেকে পূর্ণাঙ্গ ধর্মভীরুরূপে গড়ে তুলতে পারেনি। কারণ তার নফস তার আওতাধীন নয়। সে তার নফসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি, পারছেও না। কিন্তু তার চেষ্টা অব্যাহত। এমন পরিস্থিতিতেও সে বিপথে যাওয়া মানুষদের সঠিক পথের দিশা দেখানোর চেষ্টা করে। সে সরাসরি উপদেশ কম দেওয়ার চেষ্টা করে। কারণ মানুষ বর্তমানে সত্য অপেক্ষা মিথ্যে ও অবাস্তব কথা বেশি শুনতে পছন্দ করে। সত্য আজকাল মানুষের বদহজম হয়। তাই মানা না মানার বিষয়ে সে কাউকে জোর জবরদস্তি করে না। নিহান শুধু সত্য বলার দÐ, পার্থক্য দেখানোর পাল্লা। পথ দেখানোর মালিক আল্লাহ। পরম শক্তির অধিকারী মহান সৃষ্টিকর্তা সবাইকে বিবেক দিয়েছেন। ছেলেটির দায়িত্ব সত্যকে স্মরণ করিয়ে বিবেককে নাড়া দেওয়া। তার কথা কে কতটা আমলে নিল, কিংবা আদৌ নিল কি না সেটা নিয়ে সে খুব বেশি ভাবে না। দুটো পথ দেখিয়ে সে চলে যায়। ভালো আর মন্দ পথ। এর মধ্যে একটি বেছে নিয়ে এগিয়ে চলার দায়িত্বভার নিজের। সে এই গল্পে একজন বিপথগামী মেয়েকে, বিপথে চলে যাওয়া একজন মাদকাসক্ত ছেলেকে, জেদে ডুবে যাওয়া একজন নাস্তিককে পথ দেখানোর চেষ্টা করে। এর সাথে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনাও জায়গা পেয়েছে এই গল্পে। কোনো কিছুর মিশ্রণ থেকে পাতন প্রক্রিয়ায় যেমন উপাদানসমূহ পৃথক করা হয় তেমনি রোজা প্রেমের নির্যাস থেকে পাতনের সাহায্যে প্রেমের সুফল পৃথকভাবে বের করে এনেছে। চোখ বন্ধ করতেই দেখি বিশাল গর্ত। গর্তটি সাপে ভরা। আর আমার চরিত্র সেখানে পতিত হচ্ছে। এই অবেলায় রোজা যেন প্রেমপাতনে হারিয়েছে আর আমি চরিত্রপতনে হারাতে বসেছি। উমর (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি যে, ‘যাবতীয় কার্য নিয়ত (সংকল্পের) ওপর নির্ভরশীল। আর মানুষের জন্য তাই প্রাপ্য হবে, যেটা সে নিয়ত করে। ‘হে আল্লাহ, আমি নিয়ত করতেছি, আমি উত্তম পথের পথিক হব।’
Tk.
250
188
Tk.
100
75
Tk.
250
162
Tk.
300
165
Tk.
200
116
Tk.
240
180
Tk.
550
413
Tk.
80
66
Tk.
80
48
Tk.
130
88