বর্তমান সংগ্রহের লেখাগুলোতে গবেষণায় নৈতিকতা চর্চা বিষয়ে বিশ্ব জুড়ে আলোচিত বিভিন্ন ঘটনা এবং আমার নিজের ভাবনা প্রাধান্য পেয়েছে। নিজের ভুল থেকে শিক্ষা যেমন মানুষকে উন্নত মানসিকতা তৈরিতে সাহায্য করে, তেমনি উন্নত সমাজের রীতিনীতিও মানুষকে প্রভাবিত করে। ফলে দেশে দেশে নৈতিকতার চর্চা ভিন্ন, দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। বাংলাদেশে মূল গবেষণার সুযোগ খুবই সীমিত, কিন্তু তার মানবসম্পদ চমৎকারভাবে পরিশ্রমী। সঠিক নির্দেশনার অপ্রতুলতায় সম্ভাবনাময় অনেক নবীনের জীবন অর্থহীন হয়ে পড়ছে নানা ক্ষেত্রে। গবেষণায় আগ্রহী ছাত্রছাত্রী অনেকেই গবেষণায় নৈতিকতা বিষয়ে জানে খুবই সামান্য, কিন্তু একজন গবেষক হতে চাইলে এইসব দিকে খেয়াল রাখা আবশ্যক। এতে যেমন একজন স্বতন্ত্র গবেষক হয়ে ওঠার ব্যাপ্তি বাড়ে, সঙ্গে সঙ্গে গবেষক তাঁর নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞানকে আরো সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করেন। অন্যদিকে অনৈতিক গবেষণা বিজ্ঞানের মধ্যে ক্যানসার, যা প্রতিযোগিতামূলক এই বিশ্বে প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে পড়ছে। এই বইয়ের বিভিন্ন লেখায় দর্শনের উল্লেখ নৈতিকতাচর্চার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। বইটি পড়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্ব পড়ে আঠারোতম পর্ব দিয়ে পড়া শেষ করলে, পাঠক সঠিকভাবে এই বইয়ের আলোচনা বুঝতে পারবেন। কারণ, বিভিন্ন পর্বে প্রাসঙ্গিক উদাহরণের সাহায্যে উল্লিখিত নৈতিকতা থেকে কেমন করে গবেষণা ও গবেষণাপত্রগুলো বিচ্যুত হচ্ছে, তা-ই আলোচনা করা হয়েছে। শেষ পর্বে বইয়ের শিরোনামে যে প্রশ্ন, বিজ্ঞান কি পুরোপুরি গবেষণাপত্রের ওপর নির্ভরশীল? এর উত্তর দেওয়া হয়েছে। নিজের লেখার পাশাপাশি মার্টিন গার্ডনারের একটি প্রবন্ধের অনুবাদও যুক্ত করেছি পাঠকদের বহুমাত্রিক চিন্তার খোরাক দেওয়ার লক্ষ্যে। গণিতবিষয়ক লেখক মার্টিন গার্ডনার কীভাবে আমরা ছদ্মবিজ্ঞান শনাক্ত করতে পারি, তাই নিয়ে লিখেছেন বড় পরিসরে। আমি শুধু তাঁর বইয়ের প্রথম অধ্যায়টি এখানে যুক্ত করেছি, পাঠকরা আরো জানতে আগ্রহী হলে মূল বইটি পড়ে নিতে পারেন। এই বইয়ের শেষের দিকে তিন জন বিজ্ঞানীর সাক্ষাৎকার যুক্ত করেছি, প্রথমটি প্রফেসর শ্লেগেলের, দ্বিতীয়টি ড. অদিত দোজার এবং তৃতীয়টি ড. তানজিনা রহমানের। বিভিন্ন বিষয়ে জানার সঙ্গে সঙ্গে এই তিনটি সাক্ষাৎকার পাঠককে সত্যিকার গবেষকদের চিন্তা বিষয়ে বুঝতে সহায়তা করবে।
Tk.
250
188
Tk.
800
600
Tk.
150
113
Tk.
120
103
Tk.
250
188
Tk. 30
Tk.
700
573
Tk.
120
106
Tk.
170
128