‘আপনার সন্তান হবে স্বপ্নের চেয়ে বড়’ পিতামাতার ও অভিভাবক সন্তান লালন পালনের এবং পড়ালেখায় কোন পথ অবলম্বন করবেন তার পূর্ণাঙ্গ দিক নির্দেশনা সম্বলিত এই বইটি লেখকের কথা বইটি লেখার তাগিদ অনুভব করছিলাম অনেক বছর ধরেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশােনা, পিএইচডি গবেষণা, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে ছােটভাইদের লেখাপড়ার দিক-দিনেশনা প্রদান, সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্টতা, প্রকাশনা পেশায় যুক্ত থাকার সুবাদে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার নানান দিক সম্বন্ধে উপলব্ধি ইত্যাদি সকল বিষয় থেকেই বইটি রচনার অনুপ্রেরণা ও রসদ পেয়েছি । বর্তমানে আমরা তীব্র প্রতিযােগিতাপূর্ণ এক পৃথিবীর বাসিন্দা। এখানে বিশ্বায়নের ক্রমবর্ধমান প্রভাব সবকিছুকেই বদলে দিচ্ছে প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ। বাংলাদেশের শিক্ষা, শিক্ষাঙ্গণ ও শিক্ষাব্যবস্থা অনিবার্যভাবেই এর বাইরে নয়। সঙ্গতভাবেই শিক্ষাঙ্গণে ভর্তি প্রক্রিয়া, লেখাপড়ার পদ্ধতি, চাকরির বাজার, আন্তর্জাতিক কর্মক্ষেত্র সর্বত্রই একদিকে যেমন অনেক ইতিবাচক অগ্রগতি আছে, তেমনি নানান নেতিবাচক বিষয়ও অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদেরকে প্রভাবিত করছে। আর সেই নেতিবাচক বিষয়াবলি শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য তথা জ্ঞানার্জন, মানবিক বােধের বিকাশ, জীবন ও সভ্যতার উন্নয়ন ইত্যাদিকে ভীষণভাবে বাধাগ্রস্ত করছে। জীব বিজ্ঞান, আধুনিক প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং তথ্যপ্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবন পরিবর্তন করে দিচ্ছে সভ্যতার গতিপথ। মানুষ মঙ্গলগ্রহে আবাস স্থাপনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে; স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ও রােবট প্রবেশ করছে মানুষের কর্মক্ষেত্রে; জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়ােটেকনােলজি আজ মানুষসহ বিভিন্ন জীব ও উদ্ভিদে নানান পরিবর্তন আনার সক্ষমতা প্রদর্শন করছে। এমন সময়ে আমাদের দেশে একজন অভিভাবক কীভাবে তার সন্তানকে এই নতুন পৃথিবীর জন্য প্রস্তুত করবেন? উন্নতি ও সাফল্যের কোন পর্যায়ে তাকে পৌছে দিতে চান তিনি? সে অবস্থানে পৌঁছবার যাত্রাপথে কী কী করণীয়, আর বর্জণীয়ই বা কী কী? এমনসব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সমাধান নিয়ে রচনা করেছি “আপনার সন্তান হবে স্বপ্নের চেয়ে বড়” বইটি। এ বইয়ে শিক্ষা ও এ সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় এবং ধারণা পরিস্কারভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি। আমার দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার আলােকে দেখিয়েছি, সন্তানকে কীভাবে ব্যক্তি পর্যায় থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় অতিক্রম করে বিশ্ব সভ্যতায় অবদান রাখার জন্য প্রস্তুত করা যায়। ছোেট্ট মানবজীবনকে কোন পথে সাফল্যের স্বর্ণশিখরে নিয়ে যাওয়া যায়, তার দিক-নির্দেশনাও আছে বইটিতে। বইটিতে অনেকগুলাে মৌলিক ধারণার সমন্বয় ঘটিয়েছি। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানুষ বড় হতে পারে ৭ স্তরে এবং সে জন্য প্রণয়ন করেছি লেখাপড়ার আধুনিক ৭ পদ্ধতি। এছাড়া সন্তানকে কঠিন সময়ে সহযােগিতা করা, প্রযুক্তি নেশা থেকে দূরে রাখা, তার স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার সাথে জড়িয়ে যাওয়া কয়েকটি বিষয় যেমন- ডােনেশন, কোচিং, গৃহশিক্ষক, পড়া মুখস্থ করা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বাস্তবতার নিরীখে দিক নির্দেশনা আছে এ বইতে। বইটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ হাইলাইটস আমি পরের দুই পৃষ্ঠায় আপনাদের জন্য উপস্থাপন করলাম। আশা করি এখান থেকে আপনারা বইটির মূল বিষয়াবলি সম্বন্ধে ধারণা পাবেন। এছাড়া এ বইয়ের সূচীতে একবার চোখ বুলালেও আপনি বইটির বিষয়বস্তুর ব্যাপ্তি, গুরুত্ব ও অনিবার্যতা অনুধাবন করবেন। সন্তানের পড়াশােনা নিয়ে এই বইটি লেখার পুরাে সময়ে স্ক্রিপ্টের ওপর শ্রেষ্ঠ অভিভাবকের প্রতীক, আমার বাবার পবিত্র মুখটা ভাসছিল; যিনি সম্প্রতি আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছেন। এই বইটি যদি দেশের অভিভাবক ও তাদের সন্তানদের জীবনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে, তবে তা থেকে অর্জিত সকল পূণ্য আমার বাবার কাছে পাঠিয়ে দিলাম। মহান প্রভূ যেন তার কাছে এই পূণ্য পৌঁছে দেন।
Tk.
298
244
Tk.
400
280
Tk.
100
82
Tk.
150
113
Tk.
400
300
Tk.
790
592
Tk.
100
70