+880 1521-203767
(Whatsapp,
Imo,
Viber)
পঞ্চাশ-ষাটের দশকে বড়দিয়ার যে জৌলুস ছিল , তা অনেক আগেই শেষ ! পাটের বাজার আর পাটকল — দুটোই শেষ হয়ে গেল ! পাশের নদীটাও এখন প্রায় শেষ ! বড়দিয়া থেকে লোহাগড়া হয়ে মাগুরা-ঝিনাইদহের দিকে উজানে প্রবহমান নবগঙ্গা নদী মরে গেছে অনেক আগে । বড়দিয়ার উজানে মধুমতির যে অংশ – এখন সেটুকু কেবল সচল আছে । এখান থেকে বাঁক নিয়ে গোপালগঞ্জের মানিকদাহ হয়ে বরিশালমুখী মধুমতি নদীটার বিস্তীর্ণ এলাকা এখন একটা খালের মত হয়ে গেছে , বড়সড় নৌকাই চলতে পারে না সেখানে । মধুমতি নদীকে এখন দেখলে বড় রিক্ত-নিঃস্ব মনে হয়। মনে হয় বড় হাসপাতালের ভেতরে বেড না পেয়ে কোরিডোরে বিছানা পেতে অসুখের চিকিৎসা করাচ্ছে সে ; যেদিন শয্যা পাবে, সেদিন ডাক্তার তাকে একটা মৃত্যু-সনদ ধরিয়ে দেবে, যেমনভাবে মৃত্যু-সনদ পেয়েছে ঝিনাইদাহ-মাগুরা থেকে আসা নবগঙ্গা নদী। এখন মানুষ নদীর নামে ব্রিজের নাম বলে , যেমন –গড়াই ব্রিজ, আড়িয়ালখাঁ ব্রিজ। হয়তো এমন সময় আসবে , যখন ব্রিজের নামে নদীকে চিনতে হবে ; মানুষ বলবে, গড়াই ব্রিজের তলায় একটা নদী ছিল। আমরা হয়তো সেদিকেই চলেছি। অথচ ৭২-৭৩ সাল অবধি মধুমতি-নবগঙ্গা নদীর এই যৌথ স্রোত বেয়ে বৃটিশ কোম্পানীর নামানো স্টিমার চলেছে । স্টিমারে খুলনা গিয়ে চালনা-ঘাট থেকে অন্য স্টিমারে চড়ে রায়মঙ্গল নদীপথে কোলকাতায় যাওয়া যেত । ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত এই ট্রানজিট চালু ছিল। শেষরাতে নদ-নদীর এই মহারাজা আমাদের গ্রামের সোজা দক্ষিণে নদীর বাঁকে এসে হুইসেল দিত । বড়দিয়া ঘাটের অপেক্ষমান যাত্রীদের বলতো– আমি আসছি , মালপত্তর গোছাও ! শুনশান রাতের নীরবতা ভেঙ্গে সে-ডাক বহুদূর অবধি পৌছে যেত। এই সাইরেন শুনে বাড়ির বউ, যারা শোবার সময় ভাতের হাড়িতে পানি দিতে ভুলে যেত , তারা উঠে তাদের ভাতে পানি ঢালতো। সকালে এই পান্তা খেয়ে বাড়ির কৃষকেরা চাষবাস করতে মাঠের উদ্দেশে রওয়ানা দিতো ।
Tk.
125
110
Tk.
630
473
Tk.
400
300
Tk.
400
320
Tk.
300
240
Tk.
9000
4950
Tk.
30
21
Tk.
180
113
Tk.
150
90
Tk.
286
172
Tk.
610
366