+880 1521-203767
(Whatsapp,
Imo,
Viber)
আমরা সবাই জানি, মানুষ নানা কিসিমের হয়ে থাকে। কেউ ধনী, কেউ দরিদ্র। কেউ ধৈর্যশীল, কেউ রাগী। কেউ দানশীল, কেউ কৃপণ ইত্যাদি। মানুষের এই শ্রেণিভেদকে সামনে রেখে তাদের সাথে আমাদের আচরণ করা উচিত। এই বিষয়টি নববী যিন্দেগীর কিছু ঘটনাতে আমরা প্রত্যক্ষ করবাে। আনাস রা. থেকে জানা যায় যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনাে তাকে ‘উফ” শব্দটুকুও বলেন নি। আয়েশা রা.-এর হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার এসে বললেন, তােমাদের কাছে কি খাবার আছে? তারা বললেন, না। তখন তিনি রাগ করলেন না। এমন কোন কথাও বললেন না যে, কেন তােমরা নাস্তা তৈরি করলে না? অথচ তােমরা জান আমি ক্ষুধার্ত। মসজিদ থেকে আগমন করবাে। তিনি শুধু বলেছিলেন, ঠিক আছে। আমি তাহলে সিয়াম পালন করলাম। আরেকবার তিনি এসে বললেন, তােমাদের কাছে খাবার আছে? তারা বললাে, জী আছে। তিনি বললেন, তাহলে নিয়ে আসাে। তারপর বললেন, তােমাদের কাছে তরকারী আছে? তারা বললাে, আমাদের কাছে শুধু সিরকা আছে। তিনি বললেন, নিয়ে এসাে। তারপর সেটা দিয়েই তিনি ভােজন-পর্ব সম্পাদন করেন। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্ব ক্ষেত্রে বিবেক দিয়ে কাজ করতেন। উদাহরণস্বরূপ একবার তার কাছে এক গ্রাম্য লােক এসে মসজিদের ভেতরই প্রশ্রাব করে দিল। সাহাবিরা এই দৃশ্য দেখে তাকে বাধা দিতে উদ্যত হল । কারণ তারা কেবল আবেগ দিয়েই বিষয়টি বিবেচনা করছিলেন কিন্তু নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঠিকই ভেবেছেন, এমনটা হলে কী কী অঘটন ঘটতে পারে। তাই তিনি বললেন, তাকে বাধা দিওনা।’ এরপর এক বালতি পানি আনতে বলে তা ধুয়ে দিলেন। যদি তাকে বাধা দেওয়া হত তাহলে প্রথমেই যা ঘটনার আশংকা ছিল তা হল, তার কাপড়টা নাপাক হয়ে যেত। দ্বিতীয়ত তার ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগ করে অমুসলিম হয়ে যাবারও আশংকা ছিল। অথবা ব্যাথা বা হঠাৎ প্রশ্রাব বন্ধ হওয়া থেকে সৃষ্ট নির্দিষ্ট ধরনের রােগেও সে আক্রান্ত হতে পারতাে। রাগ করা না করা নিয়ে এরকম আরও অনেক কিছুই বইটিতে পাবেন।
Tk. 260
Tk.
160
96
Tk.
400
296
Tk.
300
170
Tk.
240
144
Tk.
200
120
Tk.
224
160
Tk.
35
28
Tk.
160
120
Tk.
270
203