শয়তান অহংকার করার কারণেই আল্লাহর রহমত ও করুণা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অন্যদিকে, অনেক ঈমানদার বান্দা বেঁচে যাবেন শুধু তাদের বিনয়ের জন্য। আমাদেরও দুটো পথের একটিকে বেছে নিতে হবে—হয় অহংকারের পথকে পছন্দ করতে হবে, নতুবা বিনয়ী হতে হবে। নিজের প্রবৃত্তি ও কামনাকে নিয়ন্ত্রণ ও সংযত করা ধর্মপরায়ণ ও ঈমান-নির্ভর জীবনযাপনের জন্যও জরুরি। প্রবৃত্তির ফাঁদে আটকা পড়ার অর্থই হলো, শয়তানের জিম্মাদারিতে চলে যাওয়া। তবে নিজের প্রবৃত্তিকে দমন করা খুব সহজ কাজও নয়। এ কাজটি করতে হলে মানসিক ও আধ্যাত্মিক সতর্কতার পাশাপাশি, এসব প্রবৃত্তির বিরুদ্ধেও আমাদের যুদ্ধ করে যেতে হবে। আল্লাহ পাক বলেন, “পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার রবের সামনে দণ্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশি থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে, তার ঠিকানা হবে জান্নাত।” [সুরা আন-নাজিআত, আয়াত: ৪০–৪১] এ বইয়ের প্রতিটি পাতায় নফসের তাড়না তথা প্রবৃত্তিকে দমন করার জিহাদের উপাখ্যানই ফুটে উঠেছে। এখানে জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণের জিহাদের কথা আলোচনায় এসেছে। একইসঙ্গে পর্নোগ্রাফি থেকে দূরে থাকার জন্য জিহাদ এবং অশ্লীল গান ও কবিতার বিরুদ্ধে জিহাদও আলোচিত হয়েছে। কিন্তু যুবকেরা কীভাবে এসব চ্যালেঞ্জ মুকাবেলা করতে পারবে, এ বইটির উপজীব্য বিষয় হিসেবে তা-ও আলোচনা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, وَالَّذينَ جاهَدوا فينا لَنَهدِيَنَّهُم سُبُلَنا وَإِنَّ اللَّهَ لَمَعَ المُحسِنينَ “যারা আমার পথে সাধনায় আত্মনিয়োগ করে, আমি অবশ্যই আমার পথে তাদের পরিচালিত করব। নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণদের সাথে আছেন।” [সুরা আল-আনকাবুত, আয়াত: ৬৯] এ আয়াতে যে পথের কথা বলা হয়েছে, তা-ই হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভের পথ। এ বইটিতে একেবারেই প্রায়োগিক কিছু পন্থা উপস্থাপিত হয়েছে, যা অনুসরণ করে পাঠকেরা আল্লাহর নির্দেশিত পথে অবিচল থাকতে পারবে এবং শয়তানের সাথে সার্থকভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে পারবে।
Tk.
300
165
Tk.
200
120
Tk.
192
144
Tk.
250
187
Tk.
130
85
Tk.
240
150
Tk. 550
Tk.
370
239
Tk.
200
140
Tk.
220
198