“নওয়াব সলিমুল্লাহ: সমাজ ও রাজনীতি” ফ্ল্যাপে লেখা কথা: উনিশ শতক থেকে বিশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত ঢাকার নওয়াব পরিবারের কৃতীমান ব্যক্তিত্বগণ এদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ঢাকায় যা কিছু উন্নয়ন-উৎকর্ষ সব কিছুই এই পরিবারকে কেন্দ্র করে হয়েছিল। সে সময় ঢাকায় বসবাসকারী সকল নাগরিক নওয়াবদের অবদানের সুফল প্রত্যক্ষভাবে ভােগ করতেন। এমনকি ব্রিটিশ প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গও ঢাকায় আগমনকালে নওয়াবদের আতিথ্য গ্রহণ করতেন। এক্ষেত্রে বিশ শতকের সূচনায় নওয়াব সলিমুল্লাহর সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ গ্রহণের ফলে ইংরেজ-মুসলিম সম্পর্ক আরাে সুদৃঢ় হয়ে ওঠে। সরকারের দৃষ্টিতে ঢাকার নওয়াব সলিমুল্লাহ ছিলেন মুসলিম সমাজের দিক থেকে তাদের সর্বাধিক নির্ভরযােগ্য পরামর্শদাতা। নওয়াব সলিমুল্লাহ ছিলেন ঢাকার নওয়াব পরিবারের সবচেয়ে কৃতি সন্তান। বাংলার মুসলিম সমাজ নবজাগরণের সূচনার প্রেক্ষিতে বিশ শতকের শুরুতে নওয়াব সলিমুল্লাহ বাংলার প্রধান নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। সমকালীন বাংলার সমাজ ও রাজনীতির অগ্রগতির আলােকে নওয়াব সলিমুল্লাহর নানা চিন্তা, কর্ম, অবদান গভীরভাবে বিচার-বিশ্লেষণের দাবি রাখে। বাংলার পশ্চাৎপদ মুসলমানদের শিক্ষা, সংস্কৃতির ও রাজনৈতিক অগ্রগতি সাধনের স্বার্থে তাঁর অগ্রণী ভূমিকা অস্বীকার করার উপায় নেই। এই গ্রন্থটি ছয়টি অধ্যায়ে বিন্যাস্ত করা হয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে নওয়াব সলিমুল্লাহর বংশ পরিচয়সহ বাংলার সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে ঢাকার নওয়াব পরিবারের ভূমিকা। দ্বিতীয় অধ্যায়ে বঙ্গবিভাগ, বাংলার রাজনীতি ও নওয়াব সলিমুল্লাহর তৎপরতা। তৃতীয় অধ্যায়ে নতুন প্রদেশে মুসলিম রাজনীতির বিকাশ। চতুর্থ অধ্যায়ে নওয়াব সলিমুল্লাহর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যাবলী। পঞ্চম অধ্যায়ে বঙ্গবিভাগ রদ ও নওয়াব সলিমুল্লাহর প্রতিক্রিয়া এবং উপসংহার। বঙ্গবিভাগের প্রাককালীন সলিমুল্লাহর রাজনীতির সূচনা হয় এবং বঙ্গবিভাগ রদের পর পরই তার সক্রিয় রাজনীতির যবনিকাপাত ঘটে। তবে মৃত্যুর পূর্বক্ষণ পর্যন্তই সমগ্র বাংলার উপর সার্বিক নেতৃত্ব, জাতির বিভিন্ন পদক্ষেপে তার পৃষ্ঠপােষকতা, সকল ক্ষেত্রে তিনি দিশারীর ভূমিকা পালন করেন।
Tk.
300
225
Tk.
600
492
Tk.
400
220
Tk.
150
113
Tk.
125
94
Tk.
400
220