ইসলাম মর্যাদার দিক দিয়ে নারীকে পুরুষের থেকে ভিন্ন করে দেখেনি; বরং ইসলামের আগমনেই নির্যাতিত, নিপীড়িত, অবহেলিত নারী সমাজ পেয়েছে মুক্তির সন্ধান। সারা দুনিয়াতে যখন নারীরা নিদারুণ অবস্থায় কালাতিপাত করছিল; আরব, ইউরোপ ও অন্যান্য দেশে তাদের জন্তু-জানোয়ার বলে মনে করা হতো এবং মানুষ হিসেবে তাদের কোনো মর্যাদা ও অধিকার স্বীকার করা হতো না, তখন ইসলাম নারীর যথাযথ অধিকার ও মর্যাদা প্রদান করে নারী জাতিকে সম্মানের সুউচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। যেমন আল্লাহ তাআলা পুরুষদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘তারা তোমাদের পোশাক এবং তোমরা তাদের পোশাক।’ (সুরা বাকারা : ১৮৭) ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দুতে যেমন নারী রয়েছে, ঠিক ফেতনার কেন্দ্রবিন্দুতেও নারীর অংশগ্রহণ যেনো কোনো অংশে কম না। পৃথিবীর শুরু লগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত যত ধরনের ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি হয়েছ এবং যত ধরনের অরাজকতার দেখা দিয়েছে তার সব কটির পেছনেই নারীর ভূমিকা রয়েছে। কেননা, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা নারীকে এমন এক ধাতু দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, যে ধাতুর প্রতি আকর্ষিত সকল পুরুষই। যেমন: দুনিয়ার প্রথম ঝগড়া এবং প্রথম হত্যা নারীকে কেন্দ্র করেই হয়েছিল। বর্তমান সময়ে নারীর খোলামেলা চলাফেরা, নারী স্বাধীনতা নিয়ে স্লোগান তোলা এগুলো নব্য ফেতনা হয়ে ধরা দিয়েছে। পারিবারিক জীবনে শান্তি নেই, কিন্তু কেন নেই? তা কি কখনও উদঘাটন করার চেষ্টা করেছি? বা কিসে শান্তি ফিরে আসতে পারে ভেবেছি? কোন পথে হাঁটলে সুখের নাগাল পেতে পারি খুঁজে দেখেছি? ‘নাসিহাহ ফর মুসলিমাহ’ গ্রন্থটি আপনাকে সেই পথ দেখাবে, দেখাবে শান্তির পথ, বাতলিয়ে দিবে জীবন চলার উপকরণ। এই নাজেহাল অবস্থায় এরচেয়ে ভালো উপহার আর কিই বা হতে পারে? বইয়ের প্রতিটি শিরোনাম, প্রতিটি অধ্যায় আপনাকে ঘিরেই লেখা। প্রতিটি শব্দে দরদ নিয়ে আপনাকেই সম্মোধন করা। প্রতিটা প্যারাতেই আপনি রূহের খোরাক পাবেন ইনশাআল্লাহ৷
Tk.
180
130
Tk.
300
165
Tk.
150
135
Tk.
44
25
Tk.
300
225
Tk.
160
120
Tk.
100
90
Tk.
280
182
Tk.
40
34
Tk.
265
217
Tk.
160
104