بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ إن الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أجمعين، أما ، সন্তানের প্রতি মা-বাবার ভালোবাসা হচ্ছে নিখাদ ভালোবাসা। এতে তাঁদের কোনো স্বার্থচিন্তা থাকে না। এ খাঁটি ভালোবাসা আল্লাহর দান। শিশু-সন্তানের প্রতিপালনের জন্য আল্লাহ মা-বাবার মনে এ ভালোবাসা দান করেছেন। এ কারণেই তাঁরা সন্তানের জন্য কষ্ট করেন, বিরক্ত হন না। সন্তানের প্রতি স্নেহ-মমতার কারণে কত রাত জেগে কাটিয়ে দেন। সন্তান কাঁদে, দুধ পান করে, মা জেগে থাকেন। সন্তানের অসুখ-বিসুখ হয়, বাবা-মা রাত জেগে তার সেবা করেন। আবার দিনে মা ঘরের কাজ করেন, বাবা বাইরের কাজে যান। সন্তানকে ঘিরে তাদের দু’ জনের কত চিন্তা-ভাবনা, পরিশ্রম। এজন্য আল্লাহ তা’আলা সন্তানকে আদেশ করেছেন সে যেন মা-বাবার সাথে ভালো ব্যবহার করে। সূরাহ্ আল-‘আনকাবূতে এসেছে, “আমি মানুষকে মাতা-পিতার সাথে উত্তম ব্যবহার করার আদেশ করেছি।” মা-বাবা ছোট শব্দ, কিন্তু এ দু’টি শব্দের সাথে কত যে আদর, স্নেহ, ভালোবাসা রয়েছে তা পৃথিবীর কোনো মাপযন্ত্র দিয়ে নির্ণয় করা যাবে না। মা-বাবা কত না কষ্ট করেছেন, না খেয়ে থেকেছেন, অনেক সময় ভালো পোশাকও পরিধান করতে পারেননি, কত না সময় বসে থাকতেন সন্তানের অপেক্ষায়। সেই মা-বাবা যাদের চলে গিয়েছেন, তারাই বুঝেন মা-বাবা কত বড় সম্পদ। যেদিন থেকে মা-বাবা দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেন সেদিন ১. সূরাহ্ আল-‘আন্কাবৃত ২৯ : ৮। থেকে মনে হয় কী যেন হারিয়ে গেল, তখন বুক কেঁপে উঠে, চোখ থেকে বৃষ্টির মতো পানি ঝরে, কী সান্ত্বনাই বা তাদেরকে দেয়া যায়। সেই মা- বাবা যাদের চলে গিয়েছে তারা কি মা-বাবার জন্য কিছুই করবে না? এত কষ্ট করে আমাদেরকে যে মা-বাবা লালন পালন করেছেন তাদের জন্য আমাদের কি কিছুই করার নেই? অবশ্যই আছে। এ গ্রন্থে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে মৃত মা-বাবার জন্য কোন ধরনের ও কী কী আমল করা যাবে এবং যে আমালের সওয়াব তাদের নিকট পৌঁছবে তা উল্লেখ করা হলো। -ব্রাদার রাহুল হুসাইন (রুহুল আমিন)
Tk.
264
195
Tk.
350
210
Tk.
200
180
Tk.
300
183
Tk.
40
24
Tk.
250
233
Tk.
36
22
Tk.
190
123
Tk.
110
77
Tk.
105
63