+880 1521-203767
(Whatsapp,
Imo,
Viber)
আন্দামানের সেলুলার জেল সংরক্ষণ আন্দোলনের নেতা শ্রী বিজয়লাল ব্যানার্জীর অনুসন্ধান থেকে জানা যায়,‘সেলুলার জেলে যাদের ব্রিটিশ সরকার পাঠিয়ে ছিল, তাঁরা কেউ অহিংস আন্দোলনের সত্যাগ্রহী নন। প্রত্যেকেই সশস্ত্র আন্দোলনের পথিক বীরসেনানী। এরও আগে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ (প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ) ও ওয়াহাবী বিদ্রোহ থেকে শুরু করে উপমহাদেশের (বর্তমান ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ) বিভিন্ন প্রান্তে যারা বিদ্রোহ করেছিলেন ব্রিটিশ শাসন-শােষণের বিরুদ্ধে, তাঁদের অনেকে শহীদ হয়েছেন, অনেকের স্থান হয়েছিল আন্দামানের বিভিন্ন কারাগারে এবং পরবর্তী পর্যায়ে সেলুলার জেলে। তারাও ছিলেন একইভাবে সশস্ত্র সংগ্রামের বীরসেনানী। জীবন উৎসর্গ করার সাহস-শক্তির দিক থেকে আন্তরিক দেশপ্রেমের দিক থেকে তাদের মধ্যে পার্থক্য করার সুযােগ তেমন নেই। তবে পার্থক্য একটা ঘটে বটে, সেটা পরের দিকে, যখন পরবর্তী পর্যায়ের বিপ্লবীরা দেশমাতৃকার স্বাধীনতা ও সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থাকে তাদের মূল লক্ষ্য হিসেবে। বেছে নিয়ে জেলে এবং জেল থেকে বেরিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংগ্রাম পরিচালনা করেন। ১৮৫৭ সাল থেকে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আন্দামানের বিভিন্ন কারাগার ও সেলুলার জেলে যারা এসেছিলেন তাঁরা এবং তাঁদের প্রজন্ম পরম্পরার বংশধরগণ ব্রিটিশ যুগ থেকে আন্দামানে বসবাস করে আসছিলেন। কিছু অরাজনৈতিক দুষ্কৃতকারীও তাঁদের মধ্যে ছিলেন। বিদ্রোহীদের প্রভাবে স্বভাবতই এঁদের মধ্যেও ব্রিটিশ বিরােধী চেতনার সঞ্চার হয়েছিল। ব্রিটিশের নানা প্রয়ােজনে উপমহাদেশের নানা প্রান্ত থেকে নিয়ে আসা শ্রমজীবী মানুষ ও কিছু রাজকর্মচারী, তাঁদের বংশধররাও আন্দামানের প্রথম পর্বের এই বাসিন্দাদের সমসাময়িক, তবে তাঁদের সংখ্যা তুলনায় সামান্যই। তারপরও এরা সবাই মিলে আন্দামানের প্রথমপর্বের বাসিন্দা।
Tk. 220
Tk.
850
638
Tk.
700
434
Tk.
250
205
Tk.
260
195