+880 1521-203767
(Whatsapp,
Imo,
Viber)
আমরা যখন মোবাইলে কোনো দুঃসংবাদ পাই, কারো মৃত্যুর সংবাদ পাই, তখন আমাদের কেমন অনুভূতি হয়? আমরা যে মানুষটির সঙ্গে একটা সময় গল্প করেছি, আড্ডা দিয়েছি, হাসি তামাশা করেছি, তার মৃত্যু সংবাদ পেলে আমরা কতটা নিথর হই? কোনো মানুষ যখন ফোন দিয়ে তার আপনজনের মৃত্যুর খবর দেয়, তখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা কথা বলতে পারি না। কি বলবো, বুঝতে পারি না। আপনি অনেক বড়ো জ্ঞানী হতে পারেন, অনেক শিক্ষিত বা ডিগ্রিধারী হতে পারেন। কিন্তু কারো মৃত্যুর খবর পেলে আপনিও এমন কোনো শব্দ খুঁজে পাবেন না যা বলে আপনি প্রিয়জনকে হারানোর শোক লাঘব করতে পারবেন। আপনি যতই অবস্থাশালী হন না কেন, মৃত্যুকে সহজভাবে নেওয়ার মতো প্রস্তুতি কখনোই যেন সম্পূর্ণ হয় না। অথচ মুমিন হিসেবে, যে কোনো কষ্টকর সময়ের ক্ষেত্রে আমাদের একটি হাদিস স্মরণে রাখা উচিত। আবু সাঈদ খুদরী ও আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। তারা উভয়েই রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছেন যে, ‘কোন ঈমানদার ব্যক্তির এমন কোনো ব্যথা-ক্লেশ, রোগ-ব্যাধি, বা দুঃখ নেই, এমনকি মুমিনের মাঝে যে দুর্ভাবনাগুলো আসে, তার বিনিময়ে কোনো না কোনো গুনাহ মাফ করা হয়। (মুসলিম : ৬২৪২) কারো মৃত্যুতে কান্না দোষণীয় নয়। তবে কান্নার নামে আবেগের অতিরঞ্জিত বহিঃপ্রকাশকে ইসলাম অনুমোদন দেয়নি। কেউ মারা যাওয়ার পর তার আত্মীয়-স্বজনরা যদি চিৎকার করেন বা বিলাপ করেন আর বলেন, ‘আমি কীভাবে বাঁচবো, আমি আর কী নিয়ে থাকবো? আল্লাহ্ আমার ওপর এটা কেমন অবিচার করলেন।’ এগুলো বলে বিলাপ করা জায়েজ নয়। দুঃখে কষ্টে নিজের পোশাক ছিঁড়ে ফেলা, মাথার চুল উপড়ে ফেলা বা এরকম কোনো বাড়তি আচরণও কাম্য নয়। এই ধরনের আচরণগুলো জাহেলিয়াতের অন্তর্গত। পৌত্তলিক যুগের মানুষেরা এরকম করতো। ইসলামের ভাব মর্যাদার সঙ্গে এ জাতীয় আচরণ কখনোই সাদৃশ্যপূর্ণ নয়।
Tk.
240
132
Tk.
800
440
Tk.
200
150
Tk.
367
272
Tk.
400
252