সম্পাদকের কথাঃ بسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ إن الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أجمعين، أما بعد: সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদেরকে মানুষ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। তিনি জ্ঞানের মণিমুক্তা আহরণের সুযোগ করে দিয়ে মানবজাতীকে ধন্য করেছেন, যার দয়ায় সমস্ত সৃষ্টিকুল বেঁচে আছে। অতঃপর লাখো-কোটি দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক মুহাম্মাদ -এর উপর, যিনি আগমণ করেছিলেন মানব ও জিন জাতিকে হেদায়াত প্রদর্শনের জন্য, যাকে না পেলে আমরা অন্ধকারের অতল তলে নিমজ্জিত থাকতাম, যার পরশ পেয়ে জাহেলী যুগের মানুষগুলো সোনার মানুষে পরিণত হয়েছিল, যাকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রহমাতুল্লিল আলামীন বানিয়ে এই দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। নিকট অতীতে যেসকল সৌভাগ্যবান ব্যক্তিদেরকে আল্লাহ তা’আলা স্থায়ী প্রসিদ্ধি দান করেছেন এবং স্বীয় বান্দাদের অন্তরে তাঁদের প্রতি ভালবাসা সৃষ্টি করে দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজন সৌভাগ্যবান হলেন ইমাম, ফক্কিহ ইমাম আৰু হানিফা এ (মৃ. ১৫০)। আল্লাহ তাঁর অসীম দয়ায় তাঁকে আবৃত্ত করুন, যার দ্বারা অসংখ্য মানুষ উপকৃত হয়েছেন, যাদের সংখ্যা স্রেফ আল্লাহ-ই জানেন। কোনো বড় মানুষ সম্পর্কে তিন শ্রেণীর লোক থাক (১) তার প্রতিটি কথাকে গ্রহণকারী মুকাল্লিদ এবং তার স্তুতি ও প্রশংসাকারী। (২) তার প্রতিহিংসা পোষণকারী ও মানুষদেরকে তার প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী। (৩) মধ্যমপন্থী, যারা তার ভাল দিকগুলোর স্বীকৃতি প্রদান করেন এবং এটাও মনে করেন যে, মানুষ হওয়ার দরুন তার ভুলও হতে পারে। সুতরাং তার ভাল কর্ম ও অপরিসীম খেদমতের দৃষ্টিকোণ থেকে তারা একে স্রেফ সমালোচনা ও পর্যালোচনার লক্ষ্যবস্তু বানান না। অবশ্য তার ভুলগুলো সম্পর্কে সতর্ক করার ব্যাপারে তারা কোনো দ্বিধা-সংকোচ করেন না। বরং জ্ঞানী-গুণীদের দায়িত্ব হলো, সাধারণ জনগণকে এরূপ ভুলসমূহ সম্পর্কে সাবধান করে দেওয়া এবং হক ও ইনসাফের সাথে সিরাতে মুস্তাক্বীম-এর পথে দিকনির্দেশনা দান করা। আমাদের পূর্বসূরীদের পথ ও পন্থা এটিই ছিল। আর এটিই সালাফীদের পথ। ইমাম আবূ হানিফা সম্পর্কেও অনেকটাই এরকম ঘটেছে বলে মনে হয়। উল্লেখ্য যে, তাঁর প্রশংসাকারীরা প্রসংশা করতে গিয়ে বাড়াবাড়ি করেছে। যেমন, يَكُونُ في أُمَّتِي رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ أَبُو حَنِيفَةَ وَهُوَ سِرَاجُ أُمَّتِي অর্থাৎ ‘আমার উম্মতের মাঝে এমন একজন ব্যক্তি আসবে যার নাম আবূ হানীফা। সে আমার উম্মতের প্রদীপতুল্য’। ‘ سَيَأْتِي بَعْدَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ نُعْمَانُ بن ثابت الكوي وَيُكْنى بأبي حَنِيفَةَ لَيُحْسِنُ دِينَ اللَّهِ وَسُنَّتِي عَلَى يَدِهِ অর্থাৎ ‘অচিরেই আমার পরে একজন ব্যক্তির আবির্ভাব হবে, যার নাম হবে নু’মান ইবনু সাবেত আল-কুফী, যার উপনাম হবে আবূ হানীফা। সে আল্লাহর দ্বীন ও আমার সুন্নাহকে নিজ হাতে সাজাবেন’। ‘ يَخْرُجُ فِي أُمَّتِي رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ أَبُو حَنِيْنَهُ وَبَيْنَ كَتِفِهِ خَالْ يُحْيِ اللَّهُ تَعَالَى عَلَى يَدِهِ سُنَّتِي অর্থাৎ ‘আমার উম্মতের মাঝে আবূ হানীফা নামে একজন ব্যক্তির আবির্ভাব হবে, যার কাঁধে তিলক থাকবে। আল্লাহ তাআলা তার হাতেই আমার সুন্নাহকে জিন্দা করবেন। ত আলী * থেকে একটি হাদীস বর্ণিত, ألا أنبئكم برجل من كوفتكم هذه يكنى بأبي حنيفة قد ملئ قلبه علما وحكما وسيهلك به قوم في آخر الزمان الغالب عليهم التنافر يقال لهم البنانية كما هلكت الرافضة بأبي بكر وعمر ، সাবধান! তোমাদের কুফাবাসীর মধ্য থেকে একজন ব্যক্তির আবির্ভাব হবে যার উপনাম হবে আবূ হানীফা। তার অন্তর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দ্বারা পরিপূর্ণ থাকবে।
Tk.
120
68
Tk.
240
132
Tk.
50
28
Tk.
340
180
Tk.
720
396
Tk.
310
164
Tk.
790
585
Tk.
300
225
Tk.
120
106