বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ? জ্ঞানবিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষের যুগে এই পুরনো প্রশ্নটা আবারো নতুন করে আবির্ভূত হয়েছে বিশ্ববাসীর সম্মুখে। মানবজাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে বিজ্ঞানীরা আজ অত্যন্ত শঙ্কিত। প্রযুক্তির অপ্রতিরোধ্য আধিপত্য এখন বিশ্বজুড়ে। জিন বিজ্ঞানীদের হাতে রয়েছে জিএম মানুষ বা সুপারম্যান সৃষ্টির প্রযুক্তি, যা কেবল বিত্তশালীদের কুক্ষিগত হবে। তাদের সন্তানরাই হবে জিএম মানুষ বা সুপারম্যান। আর বাংলাদেশের মতো গরিব দেশের মানুষজন পরিণত হবে তাদের দাসানুদাসে। প্রযুক্তির আকাশচুম্বী অগ্রযাত্রার ফলে সুপারম্যান, এক্সম্যান ও সাইবর্গরা কল্পবিজ্ঞানের বইয়ের পাতা আর মুভিতেই আবদ্ধ থাকবে না। মানুষের সব কাল্পনিক চরিত্রগুলোই তখন দাপিয়ে বেড়াবে বাস্তবের এই পৃথিবীতেই। এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ধনী দেশগুলোর সম্পদের বৈষম্য সপ্ত আকাশচুম্বী হয়ে উঠবে। কর্মক্ষেত্রে বুদ্ধিযুক্ত রোবট বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সের আবির্ভাবে সমগ্র বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে, মানুষ তখন পরিণত হবে বুদ্ধিযুক্ত রোবটদের ঘরের বেড়ালে। আবার এমন আশঙ্কাও রয়েছে যে, ভবিষ্যতে বুদ্ধিযুক্ত রোবট হয়তো মানুষকে ধ্বংস করে নিজেরাই মানবজাতিতে রূপান্তরিত হবে। কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ এক পর্যায়ে যন্ত্রের সাথে একীভূত হয়ে যাবে, আর এই নতুন প্রজাতি তখন দখল করে নিবে গোটা পৃথিবী। মানব প্রজাতির এমনভাবে রূপান্তর ঘটবে, যাতে মানবজাতি হিসেবে আর কোনো পরিচয়ই তখন অবশিষ্ট থাকবে না। তখন হিউম্যানকাইন্ডের স্থলে মেশিনকাইন্ডের যুগে পদার্পণ ঘটবে ইতিহাসের। মানবজাতির ভবিতব্যের এক বাস্তব চিত্র সাহিত্যের সুললিত সুষমায় তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে, যা ঋদ্ধ করবে সুহৃৎসম্মিত পাঠকসমাজকে।
Tk.
220
180
Tk.
240
180
Tk.
270
203
Tk.
320
262
Tk.
140
115
Tk.
350
263
Tk.
290
203
Tk.
1300
1001
Tk.
240
144