অর্থ : “তোমরা আমাকে স্বরণ কর আমি তোমাদের স্বরণ করব এবং তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় কর এবং আমার সাথে কুফুর কর না। হে ঈমানদারেরা যারা ঈমান এনেছ, তোমরা নামায এবং ধৈর্য্যের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর! নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।” -সূরা-বাকারা আল্লাহ তায়ালা মানুষকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন একমাত্র তাঁর ইবাদত ও গোলামী করার জন্য। আর এই ইবাদত ও গোলামী পৃথিবীতে জীবিত থাকাবস্থায় যে- কোনো অবস্থা এবং পরিস্থিতির সম্মুখীন হোক না কেন। পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদ্ধতিতে তাঁর ইবাদত করতে হবে। মসিবতের মধ্য দিয়েই মানুষ তার জীবন অতিবাহিত করবে। এটাই চিরন্তন সত্য। এমনটি পৃথিবীর কোনো মানুষের ক্ষেত্রে হয়নি যে- পৃথিবীতে জীবিত থাকাবস্থায় সে কোনো রকম বিপদ-আপদ, বালা-মসিবতে পতিত হয়নি। এই বিপদ-আপদ ও বালা- মসিবত থেকে তো আল্লাহ তায়ালার প্রিয় ব্যক্তিত্ব সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল হাবীবে খোদা সাইয়্যিদুনা আহমদে মুস্তফা মুহাম্মাদুর রসুলূল্লাহ বাদ যাননি। তাহলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের কথা না হয় বাদই দিলাম। সবচেয়ে আশ্চার্যের কথা হলো- পৃথিবীর প্রথম মানব আমাদের আদি পিতা হযরত আদম আলাইহি ওয়াসাল্লামই সর্বপ্রথম বিপদের সম্মীখিন হয়েছিলেন । তিনিও নামাজ, দোয়া এবং ধৈর্য্যের মাধ্যমেই আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা পেয়েছেন। এর থেকেও বড় খুশির বিষয় হলো- আল্লাহ জাল্লাজালালুহু নিজেই তার বান্দাদেরকে এমন এমন নির্বাচিত দোয়া শিখিয়েছেন যে- তাঁর বান্দারা যেন তাঁর কাছে প্রার্থনা করে এবং তিনিও তাদের দোয়া কবুল করেন। এজন্যই আল্লাহ তায়ালা বলেছেন- তোমরা আমার কাছে প্রার্থনা, দোয়া, মোনাজাত করো! আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব । (সূরা মুমিন) বাবা আদম আলাইহি ওয়াসাল্লামের ক্ষমা চাওয়ার এই সুন্নতকে আল্লাহ তায়ালা পরবর্তী মানুষের জন্য সকল বিধানের মতোই একটি বিধান করে দিয়েছেন। বান্দার মনের সকল কিছু আল্লাহ তায়ালার কাছে বলার জন্য তিনটি উত্তম পদ্ধতি উপর উল্লেখিত আয়াতে সুস্পষ্ট। ১- নামাযের মাধ্যমে সাহায্য চাওয়া । ২- আল্লাহর কাছে কাকুতি-মিনতি করে দোয়া-মোনাজাত করা। ৩- ধৈর্য্য ধারণ করা। প্রিয় মুসলিম ভাই-বোনেরা! যে কোনো বিপদ-আপদে এই তিন পদ্ধতি অবলম্বন করে আমল শুরু করে দেয়া সাথে বেশী বেশী দুরূদ শরীফ, ইস্তিগফার এবং দোয়ায়ে ইউনুসের আমল করতে থাকা । (বইয়ের শেষাংশে পরীক্ষিত কিছু আমল দেয়া আছে।) আপনি যদি দেখেন আপনার চাওয়া অনুযায়ী দোয়া কবুল হয়েছে। তাহলে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করুন। আর যদি আপনার চাওয়া অনুযায়ী না হয়। তাহলে শতভাগ মনে করবেন এতেই আপনার কল্যাণ বা মঙ্গল নিহিত। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা আপনার চাওয়া অনুযায়ী কিছু না দিলেও তার চেয়ে উত্তম কিছু আপনার জন্য রেখে দিবেন। যা সময় অনুপাতে তিনি আপনাকে দান করবেন।
Tk.
550
330
Tk.
247
173
Tk.
100
80
Tk.
25
18
Tk.
360
295
Tk.
170
136
Tk.
300
225