+880 1521-203767
(Whatsapp,
Imo,
Viber)
বুখারী শরীফ নামে খ্যাত হাদীসগ্রন্থটির মূল নাম হচ্ছে, ‘আল-জামিউল মুসনাদু আস-সহীহু আলমুখতাসারু মিন উমূরি রাসূলিল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়া সুনানিহী ওয়া আয়্যামিহী। হিজরী তৃতীয় শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এই হাদীসগ্রন্থটি যিনি সংকলন করেছেন তাঁর নাম আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল আল-বুখারী। মুসলিম পণ্ডিতগণ বলেছেন, পবিত্র কুরআনের পর সবচেয়ে বিশুদ্ধ কিতাব হচ্ছে এই বুখারী শরীফ। ৭ম হিজরী শতাব্দীর বিখ্যাত আলিম ইবন তাইমিয়া বলেছেন, আকাশের নিচে এবং মাটির উপরে ইমাম বুখারীর চাইতে বড় কোন মুহাদ্দিসের জন্ম হয়নি। উজবেকিস্তানের বুখারা অঞ্চলে জন্মলাভ করা এই ইমাম সত্যিই অতুলনীয়। তিনি সহীহ হাদীস সংরক্ষণের গুরুত্ব অনুধাবন করে বহু দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে অমানুষিক কষ্ট স্বীকার করে সনদসহ প্রায় ছয় লক্ষ হাদীস সংগ্রহ করেন এবং দীর্ঘ ১৬ বছর মহানবী (সা)-এর রাওযায়ে আকদাসের পাশে বসে প্রতিটি হাদীস গ্রন্থিত করার পূর্বে দু’ রাকআত সালাত আদায় করার মাধ্যমে হাদীসটি বিশুদ্ধ হবার ব্যাপারে আশ্বস্ত হতেন এবং তারপর হাদীসটি স্বীয় কিতাবে গ্রন্থিত করতেন। এইভাবে তিনি সাত হাজারের কিছু বেশি হাদীস চয়ন করে এই ‘জামে সহীহ’ সংকলনটি চূড়ান্ত করেন। তাঁর বিস্ময়কর স্মরণশক্তি, অগাধ পাণ্ডিত্য ও সুগভীর আন্তরিকতা থাকার কারণে তিনি এই অসাধারণ কাজটি সম্পন্ন করতে পেরেছেন। মুসলিম বিশ্বের এমন কোন জ্ঞান-গবেষণার দিক নেই যেখানে এই গ্রন্থটির ব্যবহার নেই। পৃথিবীর প্রায় দেড়শত জীবন্ত ভাষায় এই গ্রন্থটি অনুদিত হয়েছে। মুসলিম জাহানের অন্যান্য দেশের মতাে বাংলাদেশেও ইসলামী পাঠ্যক্রমে এটি অন্তর্ভুক্ত দেশের দাওরা হাদীস/কামিল পর্যায়ের মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সংশ্লিষ্ট বিভাগে এই গ্রন্থটি পাঠ্যতালিকাভুক্ত। তবে এই গ্রন্থটির বাংলা অনুবাদ হয়েছে বেশ বিলম্বে। এ ধরনের প্রামাণ্য গ্রন্থের অনুবাদ যথাযথ ও সঠিক হওয়া আবশ্যক। এ প্রেক্ষিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কিছুসংখ্যক যােগ্য অনুবাদক দ্বারা এর বাংলা অনুবাদের কাজ সম্পন্ন করে একটি উচ্চ পর্যায়ের সম্পাদনা পরিষদ কর্তৃক যথারীতি সম্পাদনা করে প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ১৯৮৯ সালে গ্রন্থটির প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হবার পর পাঠকমহলে বিপুল সাড়া পড়ে যায় এবং অল্পকালের মধ্যেই তা ফুরিয়ে যায়। দ্বিতীয় মুদ্রণের প্রাক্কালে এ গ্রন্থের অনুবাদ আরাে স্বচ্ছ ও মূলানুগ করার জন্য দেশের বিশেষজ্ঞ আলিমগণের সমন্বয়ে গঠিত সম্পাদনা কমিটির মাধ্যমে সম্পাদনা করা হয়েছে। বিগত ২০১৫ সালে দেশের বিজ্ঞ ও দক্ষ আলিমদের সমন্বয়ে একটি পুনঃসম্পাদনা কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটি অনুবাদ যাচাই-বাছাই করা ছাড়াও কিছু প্রয়ােজনীয় টীকা সংযােজন করে গ্রন্থখানিকে আরাে সমৃদ্ধ করেছেন। ব্যাপক চাহিদার প্রেক্ষিতে আমরা এবার ষষ্ঠ খণ্ডের ১১তম সংস্করণ প্রকাশ করলাম। আশা করি গ্রন্থটি আগের মতাে সর্বমহলে সমাদৃত হবে।
Tk.
340
238
Tk.
290
261
Tk.
300
165
Tk.
351
297
Tk.
370
259
Tk.
400
280
Tk. 230
Tk. 160
Tk.
250
205
Tk.
120
67