মধ্যযুগের মনীষী মুসলিম গণিতবিদ মুসা আল খাওয়ারিজমির সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থটির নাম কিতাব আল জাবর ওয়াল মুকাবালা। বাগদাদের খলিফা আল মামুনকে উৎসর্গিত এই গ্রন্থটিকে বীজগণিতের আদি পুস্তক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ এখান থেকেই পরবর্তীতে গণিতের উল্লেখযোগ্য শাখা বীজগণিত জন্মলাভ করে। আল খাওয়ারিজমির মাধ্যমেই বীজগণিতের ধারণা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এমনকি বীজগণিতের ইংরেজি নাম ‘এলজেব্রা’ শব্দটিও এসেছে তাঁর দেওয়া ‘আল জাবর’ শব্দবন্ধ থেকেই। ধারণা করা হয়, কিতাব আল জাবর ওয়াল মুকাবালা-র রচনাকাল ৮১৩ সাল থেকে ৮৩৩ সালের মধ্যে। বইখানা মোট তিনভাগে বিভক্ত। প্রথম অংশটি মৌলিক বীজগণিত সম্পর্কিত, দ্বিতীয় অংশে রয়েছে জ্যামিতি ও জ্যামিতিক পরিমাপের প্রসঙ্গ এবং তৃতীয় অংশে আলোচিত হয়েছে ইসলামি আইন অনুযায়ী উত্তরাধিকারদের মধ্যে সম্পত্তির বণ্টনবিষয়ক গাণিতিক আলোচনা। এ বইয়ের আগে গাণিতিক সমীকরণ সমাধানের এত সহজ ও সরল পদ্ধতি পৃথিবীর আর কারো রচনায় পাওয়া যায়নি। তার ওপর, আল খাওয়ারিজমিই প্রথম বীজগণিতের জ্যামিতিক ব্যাখ্যাও প্রদান করেন। বিশ^জুড়ে গণিতচর্চার প্রচলিত ধারাকে আমূল পাল্টে দেওয়া এই ঐতিহাসিক গ্রন্থটি প্রথমবারের মতো বাংলায় অনূদিত হলো গণিত-বিশারদ লেখক সফিক ইসলামের হাতে। প্রাসঙ্গিক পাঠ হিসেবে সংযুক্ত হয়েছে আল খাওয়ারিজমির বিস্তৃত জীবনকথা, বইটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে দীর্ঘ আলোচনা ও প্রয়োজনীয় টীকাভাষ্য। পরিশ্রমসাধ্য অনুবাদকর্মটির মাধ্যমে পাঠকেরা একটি প্রাচীন গণিত পুস্তকের স্বাদ পেতে যেমন সক্ষম হবেন, তেমনি বুঝতে পারবেন কীভাবে মধ্যযুগের একজন মুসলিম গণিতবিদ মাত্র একটি বইয়ের মাধ্যমে গণিতশাস্ত্রের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। গণিতে আগ্রহীদের জন্য তো বটেই, যেকোনো জ্ঞানপিপাসু পাঠকেরও বইটি অবশ্যপাঠ্য।
Tk.
460
345
Tk.
180
158
Tk.
130
113
Tk.
180
156
Tk.
300
225
Tk.
250
223
Tk.
500
350
Tk.
70
49
Tk.
140
88
Tk.
160
120