বিদ‘আত চেনার মূলনীতি বিদ‘আত চেনার যত উপায় ও কলাকৌশল রয়েছে, তা মূলত তিনটি ব্যাপক মূলনীতিতে একত্রিত হয়। বিদ‘আতের পরিচয়ে আমরা যা জেনেছি, তার সমষ্টিগত মর্মই হলো: “দ্বীনের মধ্যে নয়া আবিষ্কার”। আর দ্বীনের মধ্যে নয়া আবিষ্কারও দুটি মূল বিষয়ের যে-কোনো একটিতে ঘটে থাকে। প্রথম মূল বিষয়: শরীয়তের দলীলবিহীন তরীকায় আলস্নাহর নৈকট্য অর্জন: অথচ আমাদের দ্বীনে আলস্নাহ প্রদত্ত ও রাসূল প্রদর্শিত শরীয়তের দলীলভিত্তিক আমলের ইবাদত ব্যতীত আলস্নাহর নৈকট্য অর্জন সম্ভব নয়। অতএব, যে আলস্নাহ প্রদত্ত ও রাসূল প্রদর্শিত শরীয়তের দলীল বহির্ভূত আলস্নাহর ইবাদত করবে, সে অবশ্যই বিদ‘আত করবে। দ্বিতীয় মূল বিষয়: দ্বীনের নিয়ম-নীতি বহির্ভূত জীবন ব্যবস্থা প্রবর্তন করাÑ অথচ আমাদের দ্বীনের শরীয়তে রয়েছে সুনির্ধারিত নিয়ম পদ্ধতি, যার দিকে প্রত্যাবর্তন এবং তার নিয়ম-কানূনের আনুগত্য ও বশ্যতা স্বীকার করা ফরজ। সুতরাং যে ব্যক্তি ইসলামী শরীয়ত বহির্ভূত নিয়ম-কানূনের বশ্যতা ও আনুগত্য করবে, সে-ই বিদ‘আত করবে। এ দুটি হলো বিদ‘আতের ব্যাপক মূলনীতি। তবে এর সাথে যুক্ত হবে তৃতীয় মূলনীতি, তা হলো: তৃতীয়: বিদ‘আতের পথে ধাবিতকারী ওসীলাসমূহ এতে উক্ত দুই মূলনীতির মতো সরাসরি বিদ‘আত সাব্য¯ত্ম হবে না, তবে দ্বীনের মধ্যে অন্য অবস্থায় বিদ‘আত হবে, অর্থাৎ ইবাদত সঠিক অবস্থা থেকে স্থানাšত্মর হয়ে কোনো কারণ বা পন্থা তাকে বিদ‘আতের দিকে নিয়ে যাবে, যা পরিশেষে বিদ‘আত গণ্য হবে। অতএব বিদ‘আত চেনার তিনটি ব্যাপক মূলনীতি হচ্ছে: প্রথম: শরীয়তের দলীলবিহীন তরীকায় আলস্নাহর নৈকট্য অর্জন। দ্বিতীয়: দ্বীনের নিয়ম-নীতি বহির্ভূত জীবন ব্যবস্থা প্রবর্তন। তৃতীয়: বিদ‘আতের দিকে ধাবিতকারী ওসীলাসমূহ। উপরোক্ত তিনটি মূলনীতির অধিনে মোট ২৩টি বিদআত চেনার উপায় নিয়ে জ্ঞানগর্ভ মূল্যবান নাতিদীর্ঘ বইটির অবতারণা।
Tk.
190
143
Tk.
40
20
Tk.
500
350
Tk.
510
230
Tk.
200
146
Tk.
36
22
Tk.
20
16
Tk.
180
102