+880 1521-203767
(Whatsapp,
Imo,
Viber)
আত্মগত দার্শনিক গ্রন্থে প্রথম যে চরিত্রের সাথে পরিচয় হবে, তার নাম ওজুদ বা অস্তিত্ব। অস্তিত্বের স্ত্রী ইশক বা প্রেম। অস্তিত্ব ও প্রেমের সংসার থেকে জন্ম নেয় জীবন (হায়াত) সাধনা (সায়ী) ও আনন্দ (সুরুর)। সব কিছুর সমন্বয় হয়ে যার বিকাশ, সে হচ্ছে হায়াত বা জীবন। কারণ হায়াতই এ উপন্যাসের মূল চরিত্র। বুঝাই যাচ্ছে চরিত্র সমূহকে লেখক মেটাফোরে পরিণত করেছেন। যারা জীবনের এক দার্শনিক প্রকল্পের প্রতিনিধিত্ব করছে। উপন্যাসের অন্যান্য চরিত্র হচ্ছে উপলব্ধি বা বুদ্ধিবৃত্তি (ফহম), পারস্পরিক সহযোগিতা (নসর) ইত্যাদি। চরিত্রসমূহ জ্বলে উঠে সমুদ্রের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে, জনহীন জঙ্গলে পশু ও পাখিদের প্রতিবেশে। এরই মধ্য দিয়ে গোটা কাহিনি এগিয়ে যায় এমন এক উপসংহারের দিকে, যা জীবনের সত্যসার! গ্রন্থটি রচিত হয়েছে পৃথিবীর প্রথম দার্শনিক উপন্যাস হাই ইবনে ইয়াকজান এর থিম অবলম্বন করে। মানবজাতির বুদ্ধিবৃত্তিক অগ্রগতিতে এ গ্রন্থের ভূমিকা ঐতিহাসিক। মুসা আল হাফিজ এ থিমের আধারে নিজের কথাশৈলীর ব্যবহার করেছেন। চরিত্রে প্রয়োগ করেছেন সৃষ্টিশীল কল্পনা। কাহিনিতে এনেছেন বিশেষ প্রলেপ। ফলে ধ্রুপদী সাহিত্যের সুন্দর এক উদগতি ঘটেছে এ উপন্যাসে। প্রাচীন থিম অবলম্বনে ধ্রুপদ রচনা বিশ্বসাহিত্যের বরেণ্য এক ধারা। এ গ্রন্থে মুসা আল হাফিজের বর্ণনাশৈলী সতেজ ও সুখদ। জনহীন দ্বীপের অরণ্যে এক বালকের জীবন-উদ্ভাবনের বিরল বিবরণে লেখক যে রহস্যমেদুর ও জীবন্ত চিত্ররূপ এঁকেছেন, তা পাঠকদের জন্য নিয়ে আসবে চিত্তসুধার উপাদেয় আস্বাদ!
Tk. 25
Tk.
200
150
Tk.
270
221
Tk.
140
115
Tk.
295
215