বই সম্পর্কে কিছু কথা: পৃথিবীতে যে কত রকমের জ্ঞান বিদ্যমান তার কোন অন্ত নেই। মানুষ এসব জাগতিক জ্ঞান যুগ যুগ ধরে অর্জন করে, পান্ডিত্ব লাভ করে এবং পারদর্শী হয়। সে নিজেকে ধন্য মনে করে এবং সমাজও তাকে নিয়ে গর্ব করে। কিন্তু অত্যুক্তি হবে না, আর আশা করি কটুক্তিও হবে না যে, এই ধরনের মুসলিম ভাইকে যদি তার স্রষ্টা মহান আল্লাহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তাহলে অনেকে হয়তঃ সেই মহীয়ান গরীয়ান সত্তার পরিচয়টুকু ভাল ভাবে দিতে সক্ষম হবে না। কেউ দেয়ার সাহস করলেও সর্বেশ্বরবাদের ভাষায় কিংবা সুফীবাদের ভাষায় বলে থাকেঃ ‘‘আল্লাহ নিরাকার’’ ‘‘আল্লাহ সর্বস্থানে বিরাজমান’’ ইত্যাদি। ভাই সকল! মুসলিম ব্যক্তি জ্ঞানের যত বড় উচ্চ শিখরে পৌঁছাক না কেন যদি সে তার আল্লাহকে না চিনতে পারে তাহলে সে আসলে অনাথ জ্ঞানী, তার সেই জ্ঞান অসম্পূর্ণ ও অমূল্যবান। কারণ জ্ঞানের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয় জ্ঞানকে কেন্দ্র করে। আর নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহই হচ্ছেন শ্রেষ্ঠ মর্যাদাবান। আর সেই জ্ঞানীর জ্ঞান ভান্ডারে আল্লাহর সম্পর্কে জ্ঞান অবর্তমান! কি আশ্চর্য! আমরা প্রত্যেকে যদি নিজেকে প্রশ্ন করি যে, আমি কতখানি এবং কি কি বিষয় জানি? তাহলে উত্তরে প্রতীয়মান হবে যে, অনেকে অনেক কিছু জানে, কেউ মোটামুটি জানে, কেউ অল্প কিছু জানে। অর্থাৎ সকলে কিছু না কিছু কোন না কোন বিষয় জানে। কিন্তু মহান আল্লাহর সম্পর্কে কতখানি জানি? যদি এ প্রশ্ন করা হয়, তাহলে হয়ত: থমকে উঠতে হবে, আঁতকে উঠতে হবে, স্বীকার করতে বাধ্য হতে হবে যে, আসলে আমি তাঁর সম্বন্ধে সামান্য কিছুও জানি না। বক্ষ্যমাণ বইটি আল্লাহ সম্পর্কে মানুষের অজ্ঞতার সেই শূন্যতা পূরণের সামান্য প্রয়াস মাত্র।
Tk.
38
33
Tk.
720
540
Tk.
720
432
Tk.
360
234
Tk.
180
126
Tk. 345
Tk.
535
460
Tk.
700
385
Tk.
250
188
Tk.
450
369