মূলত লেখকের নাম দেখেই বইটি হাতে নেয়া। কিতাবের পাতায় পাতায় ছিল জ্ঞানের হাতছানি। গ্রন্থের সূচনা হয়েছে রচয়িতার পড়া বিভিন্ন বইয়ের মাধ্যমে। পবিত্র কুরআন পূর্বেই হিফজ ছিল, পরবর্তীতে ইলম অর্জন শুরু হয় তাফসীর, হাদীস শরীফ, হাদীসের ব্যাখ্যা গ্রন্থ, ফেকাহ’র কিতাব, উসূলে ফেকাহার কিতাব, আকিদা বিষয়ক কিতাব, সীরাত বিষয়ক গ্রন্থ, যুহদ সম্পর্কিত গ্রন্থ, সাহিত্যের কিতাব ইত্যাদি দিয়ে। নিজের পড়া সম্বন্ধে লেখক বলেন, . “যখন আমার শৈশব ও খেলাধুলার বয়স শেষ হল, তখন কিতাবপত্রকে সাথি, সঙ্গী ও বন্ধু বানিয়ে নিলাম। ভোরে ঘুম থেকে উঠি, তখনও কিতাব আমার সঙ্গী। সন্ধ্যা হয়, তখনও কিতাব আমার বন্ধু। ঘুমাই কিতাব বুকে নিয়ে। হাঁটতে থাকি কিতাব হাতে নিয়ে। কিতাবের জন্য পরিবার ও ভাই-পরিজনদের ছেড়ে দিলাম। বন্ধুবান্ধব বাদ দিয়ে ব্যস্ত হলাম কিতাবের সাথে। এ কারণে পার্কের আনন্দ ভ্রমণও বর্জন করলাম। . এমন এক যামানা আমার অতিবাহিত হয়েছে যে, অধ্যয়নের কারণে আমি বাড়ি থেকে বের হতাম না। কিছুদিন খাওয়া দাওয়ার সময়ও পড়তাম। খেতাম, পড়তাম। হাটতাম, পড়তাম। বন্ধুরা ঘুরে বেড়াত, আমি পড়তাম। লোকজন জমায়েত, তাদের আনন্দ-উল্লাস দেখতাম; কিন্তু আমি থাকতাম কিতাব নিয়ে ব্যস্ত; পাতা উল্টানোয় লিপ্ত।” . ইলম কোন সহজ জিনিস নয়। যে অর্জন করার লক্ষ্যে সময় ব্যয় এবং কষ্ট স্বীকার করতে প্রস্তুত, তার নিকট ইলম এসে হাজির হয়। লেখক ছিলেন তেমনই একজন। তিনি তালেবে ইলেমদের উপদেশ দিয়েছেন পবিত্র কুরআন হিফজ এবং নিজেস্ব গ্রন্থাগারে নিম্নলিখিত কিতাব সংগ্রহে রাখতেঃ . ১. আল্লাহ তা’লার মহাগ্রন্থ ২. সহিহ সিত্তা ৩. ফাতওয়া ইবনে তাইমিয়া ৪. ফাতাহুল বারী ৫. তাফসীরে ইবনে কাসীর ৬. মুগনী ৭. সুবুলুস সালাম ৮. নাইলুল আওতার ৯. আল বিদায়া ওয়ান নেহায়াহ ১০. যাদুল মাআদ . ইত্যাদি। এছাড়াও এখানে অনেক অসাধারণ কিতাবের নাম দেয়া আছে, যা দেখে পাঠক অভিভূত হতে বাধ্য। একজন তালেবে ইলমের সময়সূচী, হিফজ করার নিয়ম, অধ্যয়ন, মাসআলা যাচাই, গ্রন্থাগারের বিন্যাস, নির্জনতা অবলম্বন, তার লেবাস, আচার-ব্যবহার, ত্রুটি সংশোধন, ইত্যাদি সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে বইটি পড়ার মাধ্যমে যে কেউ ইলম অর্জনের সুবিন্যস্ত পথ খুঁজে পাবে।
Tk.
255
188
Tk.
450
329
Tk.
186
140
Tk.
730
547
Tk.
1300
780
Tk.
350
287
Tk.
200
172
Tk.
500
375
Tk.
600
516
Tk.
35
28
Tk.
250
188
Tk.
130
98